
নোয়াখালীর মাইজদী শহরের ব্যস্ততম ও সংবেদনশীল হাসপাতাল রোডে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা, রোগী ও সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে।
এই সড়কের দুই পাশে সরকারি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, প্রাইম, গুডহিল, মা ও শিশু হাসপাতালসহ প্রায় ২০টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল ও অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবস্থিত। প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগী এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এরই মধ্যে সড়কটির ভাঙাচোরা অবস্থা ও যানজটে রোগী পরিবহন কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর নতুন করে এই রাস্তাতেই মাসব্যাপী মেলা বসানোর উদ্যোগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও এলাকাবাসী।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. করিমুল হুদা সিরাজী তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেন, “যানজটের কারনে রোগীদের চিকিৎসা পরিবেশ ও যাতায়াতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে অনেক সংকটাপন্ন রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।”
পরিবেশবিদদের মতে, Noise Pollution (Control) Rules, 2006 অনুসারে হাসপাতাল এলাকা “Silent Zone” হিসেবে ঘোষিত। সেখানে লাউডস্পিকার বা উচ্চ শব্দে কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবুও জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে এমন সংবেদনশীল এলাকায় মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি প্রশাসনিক তৎপরতা ও আইনপ্রয়োগের ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক,পৌর প্রশাসন,পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, এই মেলার অনুমতির বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের অজ্ঞাতে এমন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে কারা? কার স্বার্থে হাসপাতাল ঘেরা রাস্তায় এ মেলা বসানো হচ্ছে?
নোয়াখালী সদর উপজেলার মালিক সমিতির সেক্রেটারি বলেন , হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে নির্দিষ্ট কোন মহল লাভবান হলে এবং এই কেন্দ্রীক কোনো সংঘর্ষ হলে বা কোনো রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কে নেবে?
সদর উপজেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী।